• Fri, Sep 2025

সাটুরিয়ার বালিয়াটি দৃষ্টিনন্দন জমিদারবাড়ি

সাটুরিয়ার বালিয়াটি দৃষ্টিনন্দন জমিদারবাড়ি

সাটুরিয়ার বালিয়াটি দৃষ্টিনন্দন জমিদারবাড়ি

prothomalo-bangla%2F2024-11-07%2Fnxz25geb%2F135.jpg?rect=2%2C0%2C717%2C478&auto=format%2Ccompress&fmt=webp&format=webp&w=640&dpr=1.3

মানিকগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার এবং ঢাকা জেলা সদর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলায় অবস্থিত বালিয়াটি জমিদারবাড়ি। বাড়িটির গোড়াপত্তন হয় আনুমানিক ১৭৯০ সালে। ধনাঢ্য লবণ ব্যবসায়ী গোবিন্দ রায় সাহা ছিলেন বাড়িটির পূর্বপুরুষ। সাটুরিয়ায় বর্তমানে জমিদারি প্রথা না থাকলেও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক অনন্য সৃষ্টি। জেলার মধ্যে যতগুলো ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে, তার মধ্যে বালিয়াটি জমিদারবাড়ি অন্যতম।

জমিদারবাড়িটি প্রায় ১৬ হাজার ৫৫৪ বর্গমিটার জমির ওপর নির্মিত। বাড়িটির সামনেই রয়েছে পাকা ঘাটলা বাঁধা বড় একটি পুকুর। শান বাঁধানো ছয়টি ঘাট রয়েছে পুকুরের চারপাশে, যা দেখতে সত্যিই মনোমুগ্ধকর। সাতটি প্রাসাদতুল্য ইমারতে রয়েছে মোট ২০০ কক্ষ।

প্রবেশপথের চূড়ায় রয়েছে সিংহমূর্তি। প্রবেশ করতেই ভেতরে নানা রকমের ফুলরাজিসমৃদ্ধ প্রাচীন সৌন্দর্য যেন দৃষ্টিনন্দিত।

বাড়িতে ৫টি বড় ভবন রয়েছে; যা পূর্ব বাড়ি, পশ্চিম বাড়ি, উত্তর বাড়ি, মধ্য বাড়ি এবং গোলা বাড়ি নামে পরিচিত। প্রথম সারিতে রয়েছে চারটি ভবন। এগুলো নির্মাণশৈলী প্রায় একই রকম। আট ইঞ্চি করে সিঁড়ির উত্থান আর বিশাল স্তম্ভ চুন, সুরকি ও ইট দিয়ে তৈরি প্রায় ৫০ ফুট উঁচু কারুকার্যে ভরা এক একটি প্রাসাদ। মাঝখানের দুটি প্রাসাদ দোতলা এবং দুই পাশের দুটি প্রসাদ তিনতলা করে।

ভবনটির ভেতরে জাদুঘরের অবস্থান। নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে জমিদারদের ব্যবহৃত সিন্দুক, আয়না, ঝাড়বাতি, লন্ঠন, বল্লম, শ্বেতপাথরের তৈরি টেবিল, পালঙ্ক, আলনা, কাঠ ও বেতের চেয়ারসহ আরও অনেক মূল্যবান নিদর্শন। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে রংমহল।

মজলিশ কক্ষের দেয়ালে হাতে আঁকা ছবি। এর অন্দরমহলে রয়েছে তিনটি অট্টালিকা। এখানে ছিল অতিথিদের থাকার জায়গা, রন্ধনশালা, পরিচারকদের থাকার জায়গা।

Erin Fay

Seaography: then Drawling--the Drawling-master was an old crab, HE was.' 'I never could abide.